চীন ও ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন উপধরন দেখা দেয়ায় করোনা নিয়ে নতুন আতঙ্ক শুরু হয়েছে। এবার ছড়াচ্ছে ওমিক্রনের নতুন ধরন ‘বিএফ-৭’ যা অতি সংক্রামক ও শনাক্ত করা কঠিন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিএফ–৭ নামে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের চেয়েও চার গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ ৯২টি দেশে অতিসংক্রামক এ ধরনে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটি প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ ও নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করছে।

বিএফ.৭ রোধে নির্দেশনা

◾বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং করে সন্দেহভাজন যাত্রীদের কোভিড-১৯ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে হাসপাতালে আইসোলেশনে নিতে হবে।

◾বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের আগমনের ১৪ দিনের মধ্যে করোনার উপসর্গ (জ্বর, কাশি, শরীর ব্যথা ইত্যাদি) দেখা দিলে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

◾কোভিড-১৯ রোগের উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরীক্ষা করতে হবে এবং আইসোলেশনে থাকতে হবে।

◾কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, জটিল রোগে আক্রান্ত এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিসহ প্রাপ্ত বয়স্ক সবার জন্য কোভিড-১৯ এর সব ডোজ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ) টিকা নেওয়া জরুরি।

◾ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও জটিল রোগে আক্রান্তসহ সবাইকে কোভিড-১৯ এর সব স্বাস্থ্যবিধি (যেমন- নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরা, ঘন ঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধোয়া বা হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ও হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি) মেনে চলতে হবে। এছাড়া হাট-বাজার, মসজিদ, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়, বিয়ে, জন্মদিনসহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশসহ সব জনসমাবেশে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।